রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৪ পূর্বাহ্ন
খেলা ডেস্ক :
তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটেই শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে খেলায় ফেরে বাংলাদেশ। কিন্তু ৩ রানের ব্যবধানে এই দুই সেট ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়েছে টাইগারা।
দক্ষিণ আফ্রিকার করা ৪৫৩ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়।
পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের প্রথম ইনিংসে চার ফিফটির সাহায্যে ৪৫৩ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশ দলের হয়ে তাইজুল ইসলাম শিকার করেন সর্বোচ্চ ৬ উইকেট। ৩ উইকেট নেন পেসার খালেদ আহমেদ। আর শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে লিজাদ উইলিয়ামসকে আউট করেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
শুক্রবার পোর্ট এলিজাবেথে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে অধিনায়ক ডিন এলগার (৭০), কিগান পিটারসেন (৬৪) ও টিম্বা বাভুমার (৬৭) ফিফটিতে ভর করে ৫ উইকেটে ২৭৮ রান করে স্বাগতিকরা।
শনিবার আগের দিনের করা ১০ রান নিয়ে ফের ব্যাটিংয়ে নেমে ২২ রান করে খালেদ আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন কাইল ভেরেইনি। শূন্য রানে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৩ রানে তাইজুলের বলে বোল্ড হন ওয়েন মুল্ডার।
দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চের আগে ভেরেইনি ও মুল্ডারকে ফেরাতে ১০২ রান খরচ করে বাংলাদেশ। এরপর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন কেশভ মহারাজ। প্রোটিয়া এই অলরাউন্ডারই বেশি ভুগিয়েছেন টাইগার বোলারদের। আট নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় সর্বোচ্চ ৮৪ রান করে তাইজুল ইসলামের পঞ্চম শিকারে পরিনত হন মহারাজ। তার ইনিংসটি ৯৫ বলে ৯টি চার আর তিন ছক্কায় সাজানো।
অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে মহারাজের বিদায়ের পরও দারুণ ব্যাটিং করেন সিমরন হারমার। ৫৯ বল খেলে দুটি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৯ রান করেন তিনি। তাকে ষষ্ঠ শিকারে পরিনত করেন তাইজুল।
টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩৬ ম্যাচে ৬১ ইনিংসে এনিয়ে ১০বার পাঁচ বা তার বেশি উইকেট শিকার করলেন তাইজুল। টেস্টে তার সেরা বোলিং ফিগার ৮/৩৯। ২০১৪ সালে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৬.৫ ওভারে ৭ মেইডেন দিয়ে ৩৯ রানে ৮ উইকেট শিকার করেছিলেন।
শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে লিজাদ উইলিয়ামসকে আউট করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ৪৫৩ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৩৬.২ ওভারে ৪৫৩/১০ রান (মহারাজ ৮৪, ডিন এলগার ৭০, টিম্বা বাভুমা ৬৭, কিগান পিটারসেন ৬৪, রায়ান রিকলপন ৪২, ওয়েন মুল্ডার ৩৩, সিমন হারমার ২৯, সারেল আরউই ২৪; তাইজুল ৬/১৩৫, খালেধ আহমেদ ৩/১০০, মিরাজ ১/৮৫, এবাদত ১২১/০)।